ব্লকচেইন প্রযুক্তি মূলত নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত (Decentralized) এবং পরিবর্তন অযোগ্য (Immutable) প্রযুক্তি, যা ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে লেনদেন এবং তথ্যকে সুরক্ষিত করে। ব্লকচেইনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী যে, এটি ক্রিপ্টোকারেন্সি, স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট, এবং অন্যান্য ডেটা-সংবেদনশীল প্রয়োগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে ব্লকচেইনের নিরাপত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
ডাবল স্পেন্ডিং হলো একটি ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে এমন একটি সমস্যা, যেখানে একজন ব্যবহারকারী একই মুদ্রা একাধিকবার ব্যয় করার চেষ্টা করে। এটি একটি প্রতারণামূলক কাজ যা প্রচলিত ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ডিজিটাল মুদ্রার বিপরীতে, শারীরিক মুদ্রা (যেমন নগদ টাকা) কেবল একবার ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু ডিজিটাল মুদ্রা কপি করা বা পুনঃব্যবহার করা সহজ হওয়ায়, ডাবল স্পেন্ডিং প্রতিরোধ করা একটি বড় সমস্যা।
ধরা যাক, একজন ব্যবহারকারীর ১টি বিটকয়েন আছে। সে যদি একই বিটকয়েন দুটি আলাদা ব্যক্তির কাছে পাঠানোর চেষ্টা করে, তাহলে এই বিটকয়েনটি একই সময়ে দুইবার ব্যয় করা হতে পারে। যদি লেনদেনের সঠিক যাচাই এবং নিশ্চিতকরণ না হয়, তবে এটি ডাবল স্পেন্ডিং সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ব্লকচেইন প্রযুক্তি ডাবল স্পেন্ডিং সমস্যার সমাধান করে একটি বিকেন্দ্রীভূত এবং স্বচ্ছ পদ্ধতি ব্যবহার করে। ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে প্রতিটি লেনদেন একটি ব্লক আকারে রেকর্ড করা হয় এবং ব্লকচেইনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে লেনদেনটি যাচাই ও অনুমোদন করা হয়। নিচে ব্লকচেইন কীভাবে ডাবল স্পেন্ডিং সমস্যার সমাধান করে তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
Sybil Attack হলো একটি আক্রমণাত্মক পদ্ধতি যেখানে একজন আক্রমণকারী ব্লকচেইন বা পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) নেটওয়ার্কে একাধিক ভুয়া বা মিথ্যা পরিচয় (নোড) তৈরি করে নেটওয়ার্কে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। এই আক্রমণটি মূলত ব্লকচেইনের বিকেন্দ্রীভূত প্রকৃতি ও কনসেনসাস মেকানিজমের ওপর নির্ভর করে কাজ করে।
Sybil Attack-এর কার্যপদ্ধতি:
Sybil Attack-এর প্রতিরোধ:
51% Attack হলো একটি আক্রমণ, যেখানে ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের ৫১% বা তার বেশি মাইনিং পাওয়ার বা কম্পিউটেশনাল ক্ষমতা একটি একক ব্যক্তি বা দলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এই আক্রমণটি মূলত প্রুফ অব ওয়ার্ক (PoW) ভিত্তিক ব্লকচেইনে ঘটে। যখন আক্রমণকারী নেটওয়ার্কের মাইনিং শক্তির অধিকাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়, তখন সে ব্লকচেইনের কনসেনসাস মেকানিজমকে প্রভাবিত করতে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করতে পারে।
51% Attack-এর কার্যপদ্ধতি:
51% Attack-এর প্রতিরোধ:
প্রাইভেট কী হলো একটি গোপন ক্রিপ্টোগ্রাফিক কী, যা ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে ব্যবহারকারীর ফান্ড অ্যাক্সেস এবং লেনদেন স্বাক্ষরের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারকারীর ডিজিটাল সিগনেচার তৈরি করতে সহায়ক এবং এটি সম্পূর্ণ গোপন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি প্রাইভেট কী অন্য কারো হাতে পড়ে যায়, তাহলে সে ব্যবহারকারী ফান্ড এবং ডেটা চুরি করতে পারে।
ওয়ালেট ব্যবস্থাপনা প্রাইভেট কী সুরক্ষার সাথে সরাসরি যুক্ত। ব্লকচেইন ওয়ালেট মূলত দুই প্রকারের হয়—হট ওয়ালেট (Hot Wallet) এবং কোল্ড ওয়ালেট (Cold Wallet)। নিচে ওয়ালেট ব্যবস্থাপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:
ব্লকচেইন প্রযুক্তি সুরক্ষিত হওয়ার জন্যই তৈরি হয়েছে, তবে এটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখার জন্য সঠিক সিকিউরিটি প্র্যাকটিস মেনে চলা জরুরি। নিচে ব্লকচেইন সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য কিছু বেস্ট প্র্যাকটিস আলোচনা করা হলো: